ওয়েব ডেস্ক: দীর্ঘ চার মাস ধরে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। এ কারণে তাকে আইসিইউতে থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে এই রাজনীতিবিদের শারীরিক উন্নতি খুব ধীর গতিতে হওয়ায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরতে আরও সময় লাগবে।
শুক্রবার (৪ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বিকেলে থাইল্যান্ডে অবস্থানরত রওশন এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ তার মায়ের শারীরিক অবস্থার চিত্র এভাবেই তুলে ধরেন।
সাদ এরশাদ জানান, তার মায়ের শারীরিক অবস্থা আগের চাইতে উন্নতির দিকে। তাই তাকে এখন কেবিনে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখন তিনি কথা বলতে পারেন। মাঝে-মধ্যে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে খুব বেশি খেতে পারেন না।
৭৮ বয়সী প্রবীণ রাজনীতিবিদ রওশন এরশাদ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন বলে উল্লেখ করে সাদ এরশাদ জানান, তার বাম পায়ে ইনফেকশন আছে কিছুটা। এছাড়া তার ডায়াবেটিসসহ আরও কিছু রোগের চিকিৎসা চলছে।
রওশন এরশাদের শারীরিক অবস্থা জানতে দেশে থাকা জাতীয় পার্টির নেতারা সাদ এরশাদকে ফোন করলে ধরেন না— এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে আমাকে মায়ের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই চাইলেও অনেক সময় ফোন ধরা সম্ভব হয় না। তবে সবার ফোন নম্বর তো আমার কাছে সেভ (জানা নেই) করা নেই। কেউ ফোন করে না পেলে তার পরিচয় দিয়ে মেসেজ দিতে পারে। তাহলে আমি পরে ফোন করতে পারতাম। এখন কেউ পরিচয় না দিয়ে বারবার ফোন করলে আমি নাও ধরতে পারি, এটাই স্বাভাবিক বিষয়।’
সাদ এরশাদ বলেন, ‘অনেকে আবার বলেন আমার সঙ্গে নাকি নিয়মিত কথা হয়। অথচ তাদের সঙ্গে আমার কথাই হয় না। বিষয়গুলো হচ্ছে এই।’
গত বছরের ৫ নভেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রওশন এরশাদকে থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়। সেখানে তার সঙ্গে আছেন ছেলে ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ ও পুত্রবধূ মাহিমা এরশাদ। এর আগে দেশেও প্রায় এক মাসের মতো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন রওশন এরশাদ। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি সংসদে গত দুই মেয়াদে বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করে আসছেন।